এনজিও ও গার্মেন্টস মালিক পরিচয়ে প্রতারণা করতেন তিনি

চট্টগ্রাম •

পঞ্চাশোর্ধ্ব পারভীন আক্তার, থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে। নিজেকে পরিচয় দিতেন এনজিও’র মালিক হিসেবে। প্রতারণা করে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা যেন পরিশোধ না করতে হয় এর জন্য একের পর এক বাসা পরিবর্তন করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেকে মালিক দাবি করে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে অংশীদার বানানোর নাম করে অসংখ্য লোক থেকে টাকা ধার নিতেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার, পড়তে হলো পুলিশের জালে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) নগরীর জুবিলী রোড তিন পুলের মাথা এলাকার গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, গত বছরের ২৫ নভেম্বর মো. জিয়াউল হক ভূঁইয়া নামের এক ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ীর কাছে পণ্য কিনতে যান প্রতারক পারভীন। এসময় তিনি নিজেকে স্বীকৃতি এপারেলস নামের এক গার্মেন্টসের মালিক হিসেবে পরিচয় দেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কারখানার ব্যবসায়ীক অংশীদার বানানোর কথা বলে এ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা। এরপরই চলে যান আত্মগোপনে।

ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, পরে তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুবিলী রোড তিন পুলের মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, শুধু ব্যবসায়ী জিয়াউল হকই নন; হালিশহর থানা এলাকার অসংখ্য মানুষ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন এই নারী। প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় অর্থঋণ আদালতে ১টি, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ডাকাতির ১টি মামলাসহ রয়েছে ২টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার পারভীন নিজেকে হালিশহরের বাসিন্দা পরিচয় দিলেও প্রতিবার গ্রেপ্তারের পর বাবা মা ও ঠিকানার ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রকাশ করেন।